ইনটলারেন্স নিয়ে কিছু কথা

পাকিস্তানে যাবার সুপরামর্শ আপনারা আজকাল শুনছেন, আমি এই গত দেড় বছর ধরে অনেকবার পেয়ে এসেছি। ২০১৪র নির্বাচনের সময় থেকেই ভারত কেমন একটা অদ্ভূত রকমের পোলারাইজড হয়ে গেছে, যে বা যারা নরেন্দ্র মোদীর সমর্থন করবে না, তারা দেশের শত্রু, তারা দেশের বিকাশ চায় না, তাদের অবিলম্বে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। বিজেপি জেতার পরে উল্লসিত অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আমি কবে পাকিস্তান যাচ্ছি। সেই প্রশ্নকারীদের মধ্যে আমার কলেজের সহপাঠী, স্কুলের সময়কার বন্ধু কিংবা পরে হওয়া অল্পপরিচিত ব্যক্তিও আছেন, এই শ্রী যতীন ধাওয়ান তাঁদের মধ্যেই একজন। … More ইনটলারেন্স নিয়ে কিছু কথা

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – অষ্টম ও শেষ পর্ব

পড়ি-কি-মরি করে পরপর কয়েকটা গাড়ি বাঁদিকের রাস্তায় ঢুকে গেল। আমরা আরও কিছুক্ষণ দোনামোনা করলাম – যাওয়া উচিত, নাকি অপেক্ষা করা উচিত? একটা টায়ার জখম, দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা বলে কিছু নেই, আর যাই হোক, এটা গাড়ি চলার রাস্তা নয়, নিতান্তই গ্রামের সাইকেল চলার রাস্তা। ঢোকা কি উচিত হবে? একবার গাড়ি বসে গেলে না পাবো হেল্প, না সাইড করার জায়গা আছে, না ব্যাক করার। আমাদের তিনজনই তখন এ ওর মুখের দিকে চাইছি। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – অষ্টম ও শেষ পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – সপ্তম পর্ব

যে ভয়টাকে এতক্ষণ দূরে সরিয়ে রাখছিলাম, ইগনোর করছিলাম জোর করে, সেইটাই হল, কারণ এই পরিস্থিতির জন্য আমি প্রস্তুত নই। ওভারকনফিডেন্স বলুন কিংবা ভুলোমনা – আমি আসার আগে আমার গাড়ির টুলকিট-টি বাড়িতে ফেলে রেখে এসেছি। ডিকিতে যদিও একটি স্টেপনি আছে, অক্ষত, কিন্তু সঙ্গে না আছে জ্যাক, না আছে স্ক্রু-রেঞ্চ। এখন কী উপায়? হোটেলে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম, কাছাকাছি “পাংচার শপ” কোথায় আছে – ওরা বলল, দু কিলোমিটার আগে পেয়ে যাবো। এখন, গাড়ি তো অতদূর টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না, হাওয়াবিহীনভাবে এতটা এল কী করে সেটা ভেবেই আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি, গৌরবই বলল, মনে হচ্ছে এটা সকালের কেস নয়। সকালে পাংচার ছিল না, পাংচার হয়েছে খুব রিসেন্টলি, রাস্তায় কোথাও। নইলে এইভাবে একেবারে হাওয়া নেই, অথচ নব্বইয়ের স্পিডে আমরা আসছি – এটা জাস্ট হতে পারে না। টের পেতামই। এটা এই রিসর্টে ঢোকার মুখেই হয়েছে। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – সপ্তম পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – ষষ্ঠ পর্ব

কাল সকালে আমার ফেরা। সিকিনী আর ভূতো ফিরবে রাজধানী এক্সপ্রেসে। আমি গাড়ি নিয়ে একলা ফিরব, এই রকমই কথা ছিল। কিন্তু পথের দেবতা আর আমার কথায় কবেই বা কান দিয়েছেন। আমার শুভানুধ্যায়ী স্বজন ধারণা করে নিলেন, একা একা অতটা রাস্তা ফেরত যাবে ছেলেটা – পারবে না। বোর হয়ে যাবে। ওর একজন সঙ্গী দরকার। আমি যদিও সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা একবারের জন্যেও অনুভব করি নি, তবু স্বজনবাহিত হয়ে বাবা প্রস্তাব পাড়ল যে, আমার সাথে যাবে। তারপরে ট্রেনে চেপে ফেরত আসবে। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – ষষ্ঠ পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – পঞ্চম পর্ব

প্রাক্‌-প্রেমপর্বে আমরা, মানে আমি আর সিকিনী, দু একদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বসেছিলাম। সেইসব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আর একদিন মনে আছে, দুজনে মিলে উনিশে এপ্রিল দেখতে গেছিলাম হাজরায়, বিজলি সিনেমাহলএ। সিনেমা দেখে সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে এসেছিলাম বাবুঘাট। অনেকক্ষণ লঞ্চঘাটে বসে থেকে তারপরে ট্রেন ধরে বাড়ি গেছিলাম। ভালোবাসার মেয়েটির হাত, সেই প্রথম অনে-কক্ষণ ধরে থাকার অভিজ্ঞতা, সারা শরীরের সেই শিরশিরানি আজও ভুলতে পারি নি। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – পঞ্চম পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – চতুর্থ পর্ব

পশ্চিমবঙ্গের, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের এই সব স্টেশনগুলোতে কী যেন একটা আছে, পুরনো দিনের অনেক অনেক স্মৃতি হু-হু করে উস্‌কে দেয়। এই চার্ম দিল্লির কোনও রেলওয়ে স্টেশনে হয় না। এই যে ঘষে যাওয়া কাচের বাক্সে সাজানো বিস্কুটের প্যাকেট, তিনদিনের বাসী প্যাটিস আর ক্রিম রোল, লাল রঙের শালু দিয়ে ঢাকা পানপাতা, আর চা-ওলার হাতে ইয়াব্বড়ো কেটলি আর সারিসারি মাটির ভাঁড়েরা – এদের আমি খুব চিনি। অনেক দুপুর, অনেক বিকেলের সঙ্গী ছিল এরা আমার। এখন আমি অন্য জীবন যাপন করি। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – চতুর্থ পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – তৃতীয় পর্ব

ঝাড়খণ্ড বড় মায়াবী জায়গা। যেমনি এখানকার ন্যাচারাল বিউটি, তেমনি সুন্দর সুন্দর নাম। ঝুমরি তালাইয়া, কোডারমা, মধুপুর, এইসব নাম দেখছি এদিক ওদিক বোর্ডে, আর দূরে দেখছি হাল্কা ঢেউখেলানো ছোটছোট পাহাড়ের সারি, রাস্তার দুধারে তালগাছের সারি, আর নাম-না-জানা অসংখ্য ফুল। রাস্তাও চলেছে ঢেউ খেলিয়ে, কখনও উঁচু, কখনও উতরাই। ছোটনাগপুরের মালভূমি। আপনারা যারা ড্রাইভ করতে ভালোবাসেন, একবার অন্তত ঝাড়খণ্ডের রাস্তায় ড্রাইভ করবেন, মন খুশ হয়ে যাবে। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – তৃতীয় পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – দ্বিতীয় পর্ব

অনেক ট্র্যাভেলগ পড়ে এসেছি, জানাই ছিল যে আগ্রা পেরিয়ে বাকি উত্তর প্রদেশের ওপর দিয়ে যাবার সময়ে খুব সাবধানে যেতে হয়, কারণ অজস্র গ্রাম পড়ে রাস্তার দুধারে, এবং গ্রামের লোকেদের মাঝখানে ডিভাইডার লাগানো বোথ সাইড ক্যারেজওয়ে সম্বন্ধে প্রায় কোনও ধারণাই নেই। যে কোনও সময়ে দেখা যাবে উল্টোদিক থেকে আসছে একটা ট্রাক, কিংবা ট্রাকটর, কিংবা মোটরসাইকেল। হেডলাইট না জ্বালিয়ে, হেলমেট না পরে, প্রায়শই একটা মোটরসাইকেলে পাঁচজন সওয়ারি চেপে – এবং রাস্তার কর্নার ধরে আসারও কোনও গল্প নেই, কেউ কর্নার ধরে আসছে, কেউ মাঝের লেন ধরেই উল্টোদিক থেকে আসছে, যে যেমন পারে আর কি। উত্তরপ্রদেশ আফটার অল। নিজেকেই সাবধান হয়ে চালাতে হবে। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – দ্বিতীয় পর্ব

একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – প্রথম পর্ব

আশ্বস্ত করলাম অনেকগুলো পয়েন্টে। না, বিহার আদৌ ডেঞ্জারাস নয় যদি দিনের বেলায় ক্রস করি – আর আমরা দিনের বেলাতেই ক্রস করব কারণ আমরা বেনারসে রাতে থাকব, সেখান থেকে ভোরবেলা বেরবো, আর বেনারস হচ্ছে বিহারের বর্ডার ঘেঁষে, ওখান থেকে বিহার জাস্ট কুড়ি কিলোমিটার। আমরা ভোর থাকতে থাকতেই বিহার পেরিয়ে যাবো। সৌন্দর্য – হ্যাঁ, হিমালয়ের সৌন্দর্য এ রাস্তায় নেই, কিন্তু এ রাস্তায় অন্য সৌন্দর্য আছে। বিহার আর ঝাড়খণ্ডের সীনিক বিউটি জাস্ট অসাধারণ, অন্যরকম, না দেখলে সে বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না। আর রাস্তা? হ্যাঁ, ছোটখাটো কয়েকটা প্যাচ তো আছেই খারাপ, কিন্তু ওভারঅল রাস্তা ভীষণ ভালো, ওয়েল মেনটেইনড, রাস্তা খারাপ হবে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ঢুকলে, তাও সে খানিকটাই। এত লম্বা জার্নিতে ওটুকু খারাপ রাস্তা – গায়ে লাগবে না। … More একটি অতিসাধারণ ভ্রমণকাহিনি – প্রথম পর্ব