অন্ধকারে বসে কথা বলার কারণ

সামগ্রিকভাবে, টেলিভিশন এখন জনতার মধ্যে “দেশদ্রোহী” খোঁজার খেলায় মেতেছে। অ্যাঙ্কররা চেঁচিয়ে যায় এবং মতাদর্শরা জন্ম নেয়। এই সহিংস শব্দাবলীর মধ্যে আমি ডুবে যেতে থাকি। ভারসাম্য হারাই, মনে হয় কিছু কিছু জিনিস বোধ হয় খুব বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে গেছে। ঠিক বা ভুলের প্রশ্ন নয়। আমরা যখন মনে করতে শুরু করি যে আমাদের কথাই শেষ কথা, তখনই আমাদের থেমে গিয়ে অন্যমতকে শোনা উচিত। বিরুদ্ধমত ও অসহমতকে জায়গা দেওয়া উচিত। আবার, আবার প্রশ্ন তোলা উচিত। … More অন্ধকারে বসে কথা বলার কারণ

মন কি বাতঃ এক দেশদ্রোহীর জবানবন্দী (দ্বিতীয় পর্ব)

কিন্তু একবার “আতঙ্কবাদী” তকমা লেগে গেলে তো নিশ্চিন্ত জীবন আর কাটানো যায় না। নানা কারণে অছিলায় আর্মি অফিসার আসত, অন্যান্য মুরগিদের সাথে তাকে উত্যক্ত করার জন্য। খুশি করতে না পারলে যে আরও বড় লাঞ্ছনা থাকে, কপালে। খুশি করতে না পারার অপরাধে, চোখে চোখে রাখার সাত বছর পরেও আফজলকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এসটিএফ। ছ মাস লেগেছিল এক লক্ষ টাকা জোগাড় করতে, আফজলের পরিবারের। মুক্তির জন্য ওই দামটাই ধার্য করেছিল ভারতের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ছ মাস বাদে আফজল মুক্তি পায়। নজরদারী চলতেই থাকে তার ওপর। … More মন কি বাতঃ এক দেশদ্রোহীর জবানবন্দী (দ্বিতীয় পর্ব)

মন কি বাতঃ এক দেশদ্রোহীর জবানবন্দী (প্রথম পর্ব)

লিখতে হল এই কারণে, কারণ, কাশ্মীরের এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপটটা না জানলে বোঝা সম্ভব নয়, কোন আইডিওলজি, কোন আদর্শ থেকে আফজল গুরুরা আসে, জন্ম নেয়, ঢুকে পড়ে আমাদের নিরাপদ রাষ্ট্রের ঘেরাটোপের ভেতর। এই সোশাল নেটওয়ার্কেই, আমার পরিচিত বন্ধু, প্রিয় লোকজন, তাঁরাও দেশপ্রেম আর দেশদ্রোহের দ্বন্দ্বে উত্তাল গত এক সপ্তাহ ধরে। সমস্ত ঘটনাপ্রবাহে সম্যক মন না দিয়ে, পূর্বাপর ইতিহাস না জেনে, না পড়ে, কিছু মনগড়া ধারণা আর কিছু মিডিয়ার খাওয়ানো খবরের ভিত্তিতে তাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের নিজস্ব মতবাদ। মতাদর্শ বলাই ভালো। খুব কনভিনিয়েন্টলি ঘেঁটে দেওয়া হচ্ছে প্রতিবাদ, প্রতিবাদের কনটেক্সট, এবং চলছে বাজারে সহজলভ্য কিছু স্টিকার নিয়ে এর ওর গায়ে সেঁটে দেওয়ার প্রক্রিয়া। তুই দেশদ্রোহী। তুমি দেশপ্রেমিক নও। আপনি আফজল গুরুকে সাপোর্ট করছেন। … More মন কি বাতঃ এক দেশদ্রোহীর জবানবন্দী (প্রথম পর্ব)

আফজল গুরু – বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে?

না, এটা আমার লেখা নয়। লোকে সাধারণত নিজের ব্লগে নিজের লেখাজোখাই রাখে, আমি সচরাচর তার ব্যতিক্রম নই, তবে এইবারের জন্য নিয়ম ওভাররাইড করে অন্যের লেখা নিজের ব্লগে রাখছি, যাতে আরও আরও বেশি লোক লেখাটা পড়তে পারে। এই বিষয়ে আমারও লেখার ইচ্ছে ছিল, ইন ফ্যাক্ট, আমি নিজে একটা লেখা লিখব আবার, এর পরে, কিন্তু ফর দ্য রেকর্ড, এই লেখাটা এখানে থাক, কারণ আফজলকে নিয়ে আমি লিখলে, তার বয়ান হুবহু এক রকমেরই হত। আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে রৌহিন। আমার লেখার জন্য অপেক্ষা করতে হলে অনেকটা দেরি হয়ে যেত। বিশেষত, এই মুহূর্তে, রাজনৈতিক, মিডিয়া এবং বন্ধুবান্ধবের লেভেলেও পুরো ব্যাপারটাকে সম্পূর্ণভাবে ঘেঁটে দিয়ে যেভাবে দেশপ্রেমের একটা সরল ইকোয়েশন বানাবার সক্রিয় প্রচেষ্টা করছে, তাতে অনেক বেশি বেশি করে এই ধরণের স্বর আসা উচিত বলে আমি মনে করি। এবং সেটা এক্ষুনি আসা উচিত। এখনই। … More আফজল গুরু – বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে?

ইশরাত জাহানঃ তথ্যের খোঁজে (তৃতীয় পর্ব)

মনে রাখতে হবে, পনেরোই জুন, দু হাজার চার সালে আমেদাবাদের রাস্তায় একা ইশরাত খুন হয় নি, হয়েছিল তার সাথে আরও তিনজন – জীশান, আহমেদ আর জাভেদ। তাদের জন্য এত শোরগোল ওঠে নি কারণ সন্ত্রাসবাদ বা লশকর-এ-তোইবার সাথে তাদের যোগাযোগের কথা সন্দেহাতীতভাবে না হলেও, প্রমাণিত, অন্তত এরা যে সন্ত্রাসবাদের দিকে অনেকটাই ঝুঁকে ছিল, সে ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, কিন্তু ইশরাতের ব্যাপারে কোনও প্রমাণ আজ অবধি পাওয়া যায় নি। লশকরের দাবি ছিল ইশরাত পাকিস্তান থেকে এসেছে, এদিকে ইশরাতের মা, বোন দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের মুম্ব্রা এলাকার বাসিন্দা। ইশরাতও তাই। … More ইশরাত জাহানঃ তথ্যের খোঁজে (তৃতীয় পর্ব)