বরফ ঢাকা স্পিতি – চতুর্থ পর্ব

শুটিং স্টোন! সর্বনাশ করেছে। বাইক থামিয়ে ওপরদিকে তাকালাম। হ্যাঁ, ঠিক তাই – আমার একটু সামনেই পাহাড়ের একদম ওপরের দিক থেকে বৃষ্টির ধারার মত গড়িয়ে নেমে আসছে ছোটমেজবড় বিভিন্ন সাইজের পাথর। পড়ছে ঠিক সেইখানে যেখানে আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমার বাইক পৌঁছে যেত। কী ভেবে থামিয়েছিলাম কে জানে, থামিয়েছিলাম বলেই প্রাণে বেঁচে গেলাম।

এবার কোনদিকে যাই? একটু সামনেই পড়ছে, ইমপ্যাক্টে আমার মাথার ওপরেও যে পাথর পড়বে না, কী গ্যারান্টি আছে? আগে যাই না পিছে? … More বরফ ঢাকা স্পিতি – চতুর্থ পর্ব

বরফ ঢাকা স্পিতি – তৃতীয় পর্ব

মিনিট তিনেক দাঁড়িয়ে দম নিলাম, নিশ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হলে উল্টোদিকে গিয়ে খুব জোর করে বাইকটাকে তুলে সোজা করবার চেষ্টা করলাম। দম একেবারে আটকে যাচ্ছে, চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসবে মনে হচ্ছে, হৃদ্‌পিণ্ডটা প্রায় গলার কাছে এসে আটকে গেছে, এতটা কষ্টকর কাজ একটা শুয়ে থাকা বাইককে তুলে দাঁড় করানো? … আবার শরীরের সমস্ত জোর লাগালাম। আবার, আবার – তিন বারের চেষ্টায় বাইক সোজা হয়ে দাঁড়ালো, ঝটিতি সাইড স্ট্যান্ড দিয়ে আমি বাইকের গায়েই হেলান দিয়ে পুরো জিভ বের করে হ্যা-হ্যা করে হাঁফাতে লাগলাম। … More বরফ ঢাকা স্পিতি – তৃতীয় পর্ব

বরফ ঢাকা স্পিতি – দ্বিতীয় পর্ব

কেয়ারটেকার এক বৃদ্ধ সর্দারজি, ঠেঁট পঞ্জাবী ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেন না। নাম বলতেও হল না, দিল্লি সে আ রহা হুঁ বলতেই – হাঞ্জি হাঞ্জি এক রুম রাক্‌খিয়াসি টাইপের কিছু বলে আমাকে তালা খুলে ঢুকিয়ে দিলেন এক ঢাউস রুমের ভেতর, ভেতরে অন্তত গোটাতিনেক টেবিল টেনিস বোর্ড পাশাপাশি রাখার জায়গা হয়ে যায়। ইয়া উঁচু সিলিং, ছাদ থেকে প্রায় মেঝে ছোঁয়া জানলা, স্বচ্ছ কাঁচ, তাতে মোটা পর্দা লাগানো। বাথরুমও অনুরূপ, মাইনাস পর্দা। মানে, সেখানেও একটা ঢাউস জানলা, তাতে ঝকঝকে কাঁচ লাগানো, কিন্তু পর্দা টর্দা নেই। মানে বাইরে থেকে বাথরুমের ভেতরটা পুরোটাই দৃশ্যমান। … More বরফ ঢাকা স্পিতি – দ্বিতীয় পর্ব