প্রমাণপত্রের জন্ম এবং সর্ষেদানারা – পর্ব ৩

ঘুম ভাঙল একদম ভোরবেলায় – এসির একটানা আওয়াজ ছাপিয়ে ঘরে ঢুকে আসা হাল্কা বৃষ্টির শব্দে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। উঠে বসলাম। কাল খেয়ে উঠতে উঠতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গেছিল, চান করা হয়ে ওঠে নি, সারা গায়ে নোংরা চ্যাটচ্যাট করছে।

এসিটা বন্ধ করে উঠে বসলাম। আজ এমনিতে কোথাও কিছু করার নেই, কারণ বি মজুমদার গেছেন বিজেপির সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে, কুমারগ্রাম জাতীয় কোনও এক জায়গায়। কী করা যায় তা হলে? স্বরাজ নিশ্চয়ই নিজের অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকবে, তাও ওকে একবার জানিয়ে দেওয়া দরকার, আমি দশটা নাগাদ বরং ওকে কল করে নেব। তার আগে ফ্রেশ হয়ে একবার টুক টুক করে হেঁটে দেখে আসি আশপাশটা, আর মিউনিসিপ্যালিটিটা স্পট করে আসি।

অনেকক্ষণ ধরেই শুনছিলাম, বাইরে কে যেন একটানা কোনও এক ‘ছিদাম’কে ডেকে চলেছে – ওই ছিদাম, ওয়েঃ ছিদাম, ওই ছিদাম। বাথরুমে ঢুকতে আওয়াজটা আরেকটু স্পষ্ট হল, ছিদাম নয়, হোটেলের বাইরেই রাস্তায় কেউ এক নাগাড়ে বাঙালি উচ্চারণে বলে চলেছে, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম।

তৈরি হয়ে, বাড়িতে ফোন করে সাড়ে আটটা নাগাদ বেরোলাম। বেরোতেই পা পড়ল একটা মাংসের হাড়ে। দরজার ঠিক সামনে। তাকিয়ে দেখি, এটা আমারই থালার মাংসের হাড়। রাতে খেয়ে থালাবাটি দরজার বাইরে রেখে ঘুমোতে গিয়েছিলাম, কেউ তোলেনি এখনও পর্যন্ত, রাতে বেড়াল এসে সম্ভবত কামড়াকামড়ি করেছে মাংসের হাড় নিয়ে, এ তারই প্রমাণ।

নিচে নামলাম। সামনে সারি সারি অটো আর টোটো দাঁড়িয়ে আছে। সারিসারি দোকান, বাজার, আরও কিছু হোটেল, খাবার জায়গা। বড়সড় একটা তিনমাথার মোড়। ঠিক তিনমাথা নয়, চতুর্থ একটা সরু রাস্তাও চলে গেছে আরেকদিকে, সেই হিসেবে এটাকে চারমাথার মোড়ই বলা যায়। কাল স্বরাজ আমাকে হোটেলের যে ঠিকানাটা হোয়াটস্যাপ করে দিয়েছিল, তাতে লেখা ছিল চৌপট্টি, এখন দিনের আলোয় চারপাশের দোকানে লেখা ঠিকানা পড়ে বুঝতে পারলাম, এই মোড়টার নাম আসলে চৌপথী, আলিপুরদুয়ার।

সদ্য হয়ে যাওয়া নির্বাচনের ছাপ চারদিকে। তৃণমূল, আরএসপি আর বিজেপির পতাকা ইতস্তত গোঁজা। তৃণমূল আর বিজেপির সংখ্যাই বেশি। চৌপথীর মোড়ে এসে চওড়া রাস্তায় পড়লাম – এই রাস্তা ধরেই কাল এসেছিলাম স্টেশন থেকে, দুদিকে সারি সারি দোকান, রাস্তাটার নাম বিএফ রোড – বক্সা ফীডার রোড। খানিক এগোলাম, ম্যাপ বলছে এই রাস্তাতেই ঠিক সওয়া এক কিলোমিটার আগে আলিপুরদুয়ার মিউনিসিপ্যালিটি।

এইটা আলিপুরদুয়ারের কমার্শিয়াল হাব বলা যেতে পারে, দুদিকে কেবলই দোকান, সারি সারি, ব্র্যান্ডেড আর নন ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় স্কুটার মোটরসাইকেল জুতোর দোকান খাবার দোকান। তবে নামকরণের সংস্কৃতিটা বড় অদ্ভূত। মিউনিসিপ্যালিটি যাবার পাশাপাশি সকালের জলখাবারটাও কোথাও একটা সেরে নেবার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু এখনও অধিকাংশ দোকানই খোলে নি, আর দোকানের নাম দেখে বোঝার জাস্ট কোনও উপায় নেই যে এটা কীসের দোকান। পর পর বন্ধ শাটারের ওপর লেখা ‘সাগরিকা’, ‘মৌসুমি’, ‘অভিষেক’, ‘নন্দন’ এই সব নামের দোকান। এদের মধ্যে কে যে মুদীর দোকান, কে খাবার দোকান, আর কে মণিহারির দোকান, কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই। জুতোর দোকানগুলো তার মধ্যে একটু সাজেস্টিভ নামপত্তর ব্যবহার করেছে – একটা দোকানে খাদিম নামের পাশে দোকানের নামও বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে – ‘চলাচল’।

আলিপুরদুয়ারের লোকজন নামকরণের ব্যাপারে বড়ই কাব্যিক।

খানিক এগোতে একটা দুটো দোকানের গায়ে দেখলাম লেখা আছে, সূর্যনগর। এইখানেই আমার বাবা মা কোথাও ভাড়া থাকত, আমার জন্মের সময়ে।

আধঘণ্টা হেঁটে অনায়াসে পৌঁছে গেলাম মিউনিসিপ্যালিটির সামনে। বড় কম্পাউন্ডের এক কোণে ছোট একটা দোতলা অফিস। ভেতরে ঢুকে তিন চারটে ঘর পেরিয়েই দেখি দরজার সামনে লেখা আছে জন্ম/মৃত্যু নথিভুক্তি কার্যালয়। … আমার কাজ এখানেই। ভেতরে ঢুকলাম।

একটা লোক বসেছিল, কিন্তু সে এখানকার কর্মচারী নয়, এমনিই কেউ। জিজ্ঞেস করতে জানাল, এগারোটা সাড়ে এগারোটা নাগাদ লোক জন আসবে। এখন তো সবে সাড়ে নটা বাজে।

তা বটে। ভুলে গেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ। এখন আবার হোটেলে ফিরে গিয়ে আবার ফিরে আসা, কে জানে হবে কিনা। স্বরাজকে একবার ফোন করে দেখি। ওর অফিস কোথায় কে জানে।

স্বরাজকে ফোন করে জানালাম যেয়াজ আর কিছু কাজ হবার নেই। সাথে সাথে স্বরাজ বলল, তুই তা হলে আমার এখানে চলে আয়, দুপুরের খাওয়াটা এখানেই সেরে যাবি। আমাকে পথের বিস্তারিত ডিরেকশন এমনভাবে দিয়ে দিল, গুলিয়ে ফেলার অবকাশই রইল না।

স্বরাজের অফিস আলিপুরদুয়ার শহর থেকে একটু দূরে, শামুকতলায়। মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ফেরার পথ ধরলাম, এইবারে দোকান খুলেছে, একটা খাবার দোকানে ঢুকে খানিক পেটে কিছু দিয়ে আবার চৌপথীর মোড়ে হোটেলে ফেরা, তারপর সেখান থেকেই শামুকতলাগামী অটো ধরে বসলাম। চৌপথীর মোড় থেকে বাঁদিকের রাস্তা। খানিক বাদেই রাস্তা উঠে এল রেললাইনের ওপর একটা ফ্লাইওভারে, আর দূরে দেখলাম স্টেশন দেখা যাচ্ছে – নিউ আলিপুরদুয়ার। এলাকার নাম, চ্যাংপাড়া। রাস্তা চলল এঁকেবেঁকে, খানিক বাদেই সলসলাবাড়ি পেরিয়ে অটো শামুকতলার রাস্তা ধরল, আর চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম স্বরাজের অফিসে।

ছোট্টখাট্টো অফিসের মধ্যে একটা সাজানো ঘর – সেখানে স্বরাজ কাজে ব্যস্ত ছিল, আমি একটু অপেক্ষা করলাম, কাজ সেরে নিয়ে স্বরাজ ডাকল ভেতরে। খানিক গল্প হল, বি মজুমদারের কথা শুনে বলল,ও আচ্ছা, এখন তো চারদিকে এইসবই চলছে। এদের বিজয় মিছিল, ওদের প্রতিবাদ মিছিল। যখন যেমন অবস্থা, সেই বুঝে পারমিশন দিতে হয়। এক কাজ করি, আজ আর হাতে তেমন কাজ নেই, খেয়েদেয়ে নিয়ে চল, বিটিআর ঘুরে আসি।

বিটিআর?

বক্সা টাইগার রিজার্ভ। কোর এরিয়া – যেখানে সাধারণ মানুষের ঢোকার পারমিশন নেই, সেইখানে নিয়ে যাবো তোকে, চল্‌।

খুব ভালো কথা। কাজে এসে মুফতে বেড়াবার সুযোগ পেলে কে-ই না যেতে চায়? … শামুকতলা থানার সামনেই স্বরাজের বাড়ি, সেখানে শ্রীমতী স্বরাজ ইয়া এক থালা আম মিষ্টি আরো কী কী যেন নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আমি তো খুব একটা খাইয়ে মানুষ নই, কুঁতিয়ে কাঁতিয়ে তাও কিছুটা খেলাম। তবে কিনা, এ শুধুই ট্রেলার ছিল। আসল অবস্থাটা টের পেলাম খানিক বাদে ভাত খেতে বসে। সে একেবারে এলাহী  ব্যাপার বললেও কম বলা হয়। যে দুটো চারটে জিনিসের নাম না বললেই নয়, তার মধ্যে ছিল ভাজা, পোস্ত, বোরোলি মাছভাজা, পোনা মাছ, আরও একটা মাছের কালিয়া, তার পরে মাংস – তারপরে চোখে সর্ষেফুল। শেষের দিকের পদগুলো আর মনে নেই, শেষ অবধি খেয়ে উঠতে পারি নি কিনা! অতঃপর খানিক বিশ্রামাদির ব্যবস্থা।

কিন্তু বন্ধুপত্নীর সামনে নিজেকে স্মার্ট দেখাতে হবে তো। যদিও খানিক গড়িয়ে নিতে পারলেই ভালো হত, কিন্তু কেতা মেরে বললাম, আমার দুকুরে ঘুমনো অভ্যেস নেই। বলে স্বরাজের সাথে গল্প জুড়লাম।

স্বরাজ বলছিল ওখানকার কথা। খুব তাড়াতাড়ি বদলে যাচ্ছে মানুষের মানসিকতা। … বুঝলি, ইলেকশনের শেষে দু রকমের এক্সিট পোল হয়। একটা করে ঐ সাংবাদিকরা, যাদের আমরা টিভিতে দেখি, আর পুলিশদেরও আলাদা এক্সিট পোল হয়। আমরা সরকারেরই চোখ কান কিনা, তাই সরকারে কে আসছে কে যাচ্ছে, আমাদের ভেতর থেকে খোঁজ খবর রাখতে হয়। বিশ্বাস কর সিকি, আলিপুরদুয়ার বিজেপির হাতে যেতে চলেছে, এটা আমরা জানতাম, কিন্তু জলপাইগুড়িও তৃণমূল ধরে রাখতে পারবে না, এটা কেউ আন্দাজ করতে পারি নি। কীভাবে বের করেছে জানিস? এই যে এত চা বাগান, তার এত মজুর, কামিন, তাদের এত অভাব – আরএসএস এসে ঢুকেছিল ওদের মধ্যে। আরএসএসের ব্যানার নেই, বিজেপির ব্যানারও নেই, ওরা এসে এই গরীব মানুষগুলোকে সাহায্য করেছে। বছরের পর বছর ধরে। শুরু হয়েছে ধর সেই দু হাজার দশ এগারো থেকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম পরিবর্তন যখন হল, তখন থেকে। তেলটা, চিরুনীটা, সাবানটা, ওষুধটা, বেসিক জিনিসপত্রের জোগান দেওয়া, আর ওদের যে ইশকুলের চেন হয়, সেই ইশকুলে ওদের বাচ্চাদের পড়ানো, ইনফর্মাল স্কুল। সমস্ত ঘটিয়ে গেছে চুপচাপ, কেউ জানতে পারে নি, ভেবেছে এনজিও। ঠিক যখন সময় এসেছে, যেখানে ভোট দিতে বলেছে, সেইখানেই ভোট দিয়েছে এদের দল। দীর্ঘদিনের মেহনতের ফসল এইভাবে তুলেছে বিজেপি আরএসএস – দিদি কিস্যু করতে পারে নি। তিনোদের ওপর তো লোকের রাগ ছিলই, শালা সব জায়গায় খেয়ে খেয়ে ফাঁক করে দিয়েছে। এইবার চান্স পেতেই একদম ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে।

আমাদের শহরের রাজনীতিচর্চার থেকে কত হাজার কিলোমিটার যেন দূরের – আরেক রাজনীতির পটপরিবর্তনের গল্প।

বাইরে কেউ একজন ডাকল। স্বরাজ বলল, গাড়ি এসে গেছে, চল, বেরোই।

বেরনো গেল। পনেরো কিলোমিটারের মাথাতেই এসে গেল কুমারগ্রাম, তারপরে তুরতুরি বলে ছোট্ট একটা জনপদ, মূলত মদেশিয়া চা বাগানের শ্রমিকদের বস্তি, রাস্তার দুদিকে খানিক চা বাগান, তারপরে জঙ্গল শুরু হয়ে গেল। বিটিআর। জঙ্গলে গাড়ি ঢুকল।

20190529_153151

বক্সা টাইগার রিজার্ভে অবশ্য টাইগার নেই। আমরা প্রথমে গেলাম কাছেই একটা ঝিল মত এলাকায়। রাতের বেলায় নাকি জঙ্গলের জন্তুজানোয়ারেরা এখানে জল খেতে আসে। দিনের বেলায় অবশ্য আমরা একটা ফড়িংয়ের বেশি আর কিছুই দেখতে পেলাম না।

20190529_153102

মোবাইলের টাওয়ারে এসে গেছে ভুটানের রোমিং নেটওয়ার্ক – তাশি সেল। এই এলাকাটা আসাম আর ভুটান বর্ডারের একদম গায়ে লাগোয়া।

ঝিল থেকে ফিরে এসে আবার গাড়িতে বসে আর দেড় কিলোমিটার যেতেই সামনে এল এক দারুণ দৃশ্য। অনেকখানি ফাঁকা জায়গা, তারপর বড় বড় বোল্ডারের ওপর দিয়ে নাচতে নাচতে চলেছে রায়ডাক নদী, আমরা এখন ভুটানে, নদীটা এখান থেকে আরেকটু এগিয়েই ভারতে ঢুকবে, আর নদের ওপারে রঙবেরঙের পাথরের ছোট ছোট টিলা।

20190529_15385320190529_154013

খানিক ছবি, খানিক ঘোরাঘুরি।

20190529_15410720190529_15411420190529_154305

তারপরে ফিরে আসা শামুকতলা, সেখান থেকে স্বরাজের অফিসের গাড়িই পেয়ে গেলাম – আলিপুরদুয়ার আসছিল কাজে। স্বরাজকে গুডবাই জানিয়ে বসে পড়লাম গাড়িতে। স্বরাজের স্ত্রী জোরজার করেই আমাকে গছিয়ে দিলেন দু প্যাকেট চানাচুর আর এক কৌটো রসগোল্লা, ইয়া ইয়া সাইজের।

পরে বাবার কাছে শুনছিলাম, বাবা-মাও নাকি সেই সত্তরের দশকে এই রাস্তা ধরে যেত বক্সা জঙ্গলের দিকে, তুরতুরি পেরিয়ে, সেইখানে পিঠের টুকরিতে রাশিরাশি কমলালেবু নিয়ে ফিরত মদেশিয়া মেয়ের দল, কাছেই ছিল (কিংবা এখনও আছে হয় তো) কমলালেবুর বাগান। সেইখান থেকে ফিরতে ফিরতে গলা শুকিয়ে গেলে পিঠের টুকরি থেকে একটা দুটো কমলালেবু বের করে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে গলা ভেজানো, আর বাকি কমলালেবু নিয়ে পথের ধারে বসে বিক্রি করত সেই মেয়েরা, তুরতুরি, কুমারগ্রাম, শামুকতলা, সলসলাবাড়ি, আলিপুরদুয়ার। খুব শস্তায় পাওয়া যেত কমলালেবু। হয় তো এখনও যায়। আর হ্যাঁ, শামুকতলার নাম তখনও লোকে জানত ওখানকার মেগা সাইজের রসগোল্লার দৌলতে।

একটা দিন তো ঘুরেই কেটে গেল। কাল আসল কাজ। দেখি, বি মজুমদার কতটা সাহায্য করতে পারেন।

সন্ধেবেলা চৌপথীর মোড়ে দেখলাম একটি ছোট্ট প্যান্ডেল করা হয়েছে, সেখানে একটি ঢাউস এলসিডি স্ক্রিন। ভারতের ফ্যাসিস্ট দলটি বিপুল জনাদেশ পেয়ে সেদিন শাসনভার পেয়েছে পরের পাঁচ বছরের জন্য, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান জনস্বার্থে টাউনের মোড়ে প্রোজেকশন করে দেখানো হচ্ছে। গেরুয়া প্যান্ডেল, বিজেপির পতাকা এবং গোণাগুণতি কয়েকজন মানুষ। অবশ্য, আশেপাশে বেশ কিছু তৃণমূলের পতাকাও উড়ছিল আপনমনে, নির্বিবাদেই।

হোটেলের ঘরে বসে নেট কানেক্ট করার চেষ্টা করছি, এমন সময়ে কানে এল নিচে রিক্সা বা টোটোতে করে কেউ মাইকে ঘোষণা করতে করতে যাচ্ছে – আগামী অমুক তারিখে পরমপূজ্য শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারীর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মহোৎসব হবে। আপনারা জাতিধর্মনির্বিশেষে এই উৎসবে যোগদান করে … ইত্যাদি ইত্যাদি।

খানিকক্ষণের জন্য সন্তান দলকেও আমার সহনীয় মনে হল, অন্তত ধর্মের বেসিসে তো কাউকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে না। জাতিধর্মনির্বিশেষে বলছে। অবশ্য টাইমিংটাও লক্ষ্যণীয়।

রাতে হোটেলের সামনেই একটা চমৎকার খাবার জায়গা পেয়ে গেলাম। মাটন কষা আর রুটি।

এই যে, স্বরাজ আর আমি। লরেল এবং হার্ডি।

IMG-20190605-WA0004


3 thoughts on “প্রমাণপত্রের জন্ম এবং সর্ষেদানারা – পর্ব ৩

  1. “শাটারের ওপর লেখা ‘সাগরিকা’, ‘মৌসুমি’, ‘অভিষেক’, ‘নন্দন’ এই সব নামের দোকান” – এতে না বোঝার কী আছে! ‘সাগরিকা’ – সী ফুডের দোকান। ‘মৌসুমি’ – ছাতা, বর্ষাতির। ‘অভিষেক’ – নির্ঘাত বিয়ে, পৈতের উপকরণ পাওয়া যায়। ‘নন্দন’টা একটু ট্রীকি – ননভেজ, বা সন্দেশ মিষ্টি, অথবা রূপটান, যা খুশী হতে পারে।

    Like

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.